ইফতার করা কি? জানুন ইফতারের গুরুত্ব, সুন্নত পদ্ধতি ও ফজিলত!

ইফতার করা কি , ইফতার শব্দটির সঙ্গে রমজান মাস জড়িয়ে আছে গভীরভাবে। সারা দিন রোজা রাখার পর সূর্যাস্তের মুহূর্তে প্রথম আহার গ্রহণ করাই ইফতার। এটি শুধু একটি খাবারের সময় নয়; বরং ধৈর্য, সংযম ও ইবাদতের পুরস্কার।

হাদিস অনুযায়ী, তাড়াতাড়ি ইফতার করা সুন্নত। রাসূল (সা.) সাধারণত খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন, খেজুর না থাকলে পানি পান করতেন। ইফতারের সময় দোয়া পড়া এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা বিশেষ ফজিলতপূর্ণ।

এই সময় পরিবার-পরিজন একসঙ্গে বসে খাবার গ্রহণ করে, যা পারস্পরিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে। মুসলিম সংস্কৃতিতে ইফতার শুধুই খাবার নয়; এটি এক অনন্য ধর্মীয় ও সামাজিক ঐতিহ্য। প্রতিদিনের ইফতার মুহূর্তটি তাই শুধু পেটের ক্ষুধা মেটায় না, বরং আত্মার প্রশান্তি এনে দেয়। 🌙

কি দিয়ে ইফতার করা উত্তম?

ইফতার করার উত্তম পদ্ধতি হলো রাসূল (সা.)-এর সুন্নত অনুসরণ করা। তিনি সাধারণত খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন, কারণ এটি দ্রুত শক্তি জোগায়। যদি খেজুর না পাওয়া যায়, তাহলে পানি পান করাও সুন্নত। এটি শরীরকে শীতল করে ও হাইড্রেট রাখে।

তাজা ফলমূল, শরবত এবং সহজপাচ্য খাবার ইফতারের জন্য উত্তম, কারণ এটি দেহকে দ্রুত শক্তি ফেরাতে সাহায্য করে। গুরুপাক ও অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

সর্বোপরি, পরিমিত ও হালাল খাবার দিয়ে ইফতার করাই উত্তম, যাতে স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে এবং ইবাদতে মনোযোগ দেওয়া যায়।

ইফতারের দোয়া

ইফতার শুধু খাবার গ্রহণের সময় নয়, এটি এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের অংশ। রোজাদার যখন সারাদিন সংযমের পর ইফতার করেন, তখন আল্লাহর রহমত লাভের এক বিশেষ সুযোগ থাকে। তাই ইফতারের আগে বা সময় দোয়া পড়া সুন্নত।

রাসূল (সা.) ইফতারের সময় এই দোয়া পড়তেন:

اللهم لك صمت وعلى رزقك أفطرت

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া ‘আলা রিযক্বিকা আফতারতু

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি।

এই দোয়া পড়ে ইফতার করলে আল্লাহর বরকত ও রহমত লাভ হয়।

ইফতারের ফজিলত

ইফতার শুধু খাবার গ্রহণ নয়, এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমতের মুহূর্ত। রাসূল (সা.) বলেছেন, “রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত আছে—একটি ইফতারের সময়, অন্যটি আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়।” (বুখারি, মুসলিম)

ইফতার তাড়াতাড়ি করা সুন্নত এবং এতে বরকত রয়েছে। এ সময় দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাই ইফতারের আগে ও পরে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

রাসূল (সা.) সাধারণত খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার করতেন, যা সুন্নত ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ইফতারের মাধ্যমে রোজাদার শারীরিক ও আত্মিক প্রশান্তি লাভ করেন।

Sharing Is Caring:

Leave a Comment