বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে কেন ভর্তি হবেন
মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানার আগে কি কারনে সেখানে ভর্তি হবে এটা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নিতে হবে। নিচে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে যেসব কারণে ভর্তি হবেন তা উল্লেখ করা হলো:-
➡️ আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা: বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে যারা ভর্তি হয়ে থাকেন তারা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাব্যবস্থা পেয়ে থাকেন। কেননা এখানে ভর্তি হওয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে।
➡️ ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ: এখানে যারা পড়াশোনা করে থাকেন তারা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে চাকরি করতে পারেন। এখান থেকে পাস করা ক্যাডেটরা বিদেশী জাহাজে চাকরি পেয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারেন ও নিজেদের সামাজিক উন্নতি ঘটাতে পারেন।
➡️ উচ্চ বেতন সুবিধা: মেরিন ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ যারা করে থাকেন তাদের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে অন্যান্য কর্মজীবীদের তুলনায়।
➡️ ভবিষ্যতে উন্নতি: মেরিন ক্যারিয়ারে অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে ক্যাপ্টেন বা চিপ ইঞ্জিনিয়ার এর মত উচ্চ পদে উন্নীত হওয়ার সুযোগ রয়েছে যার ফলে বেতনের পরিমাণ অনেক বাড়ে।
আরো পোস্ট: ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের পড়ার যোগ্যতা ও খরচ
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি ভর্তি যোগ্যতা
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার জন্য কিছু শর্তাদি পূরণ করা লাগে। নিচে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করা হয়েছে:-
১. শিক্ষাগত যোগ্যতা
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হতে হলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অবশ্যই উত্তীর্ণ হতে হবে। উত্তীর্ণ হলেই হবে না আরো কিছু শর্ত রয়েছে। এসএসসিতে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ পেতে হবে ও এইচএসসি তে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। অর্থাৎ দুই পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৭ হতে হবে। তাছাড়া পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ও গণিত আবশ্যক বিষয় হিসেবে থাকতে হবে। তাছাড়া ইংরেজি বিষয়ে ন্যূনতম জিপিএ ৩ থাকতে হবে।
২.বয়স সীমা ও নাগরিকত্ব
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে। তবে প্রতিবছর নির্দিষ্ট সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আসল বরাদ্দ থাকে। তাছাড়া ভর্তির সময় প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ২১ বছর হতে হবে ও অবিবাহিত হতে হবে। বয়স সীমা এর বেশি হলে গ্রহণযোগ্য হবে না।
৩.শারীরিক যোগ্যতা
মেরিন পেশা হলো চ্যালেঞ্জিং ও শারীরিকভাবে পরিশ্রমের একটি পেশা। তাই এই পেশায় লাগার আগে অবশ্যই শারীরিকভাবে ফিট আছেন এটার প্রমাণ দিতে হবে। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ভর্তির আগে শারীরিক যোগ্যতার শর্তাবলী পূরণ করতে হবে। যেমন:-
➡️ উচ্চতা নূন্যতম ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। ওজন উচ্চতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে
➡️ দৃষ্টিশক্তি ডেক ক্যাডেটের জন্য 6/6 চশমা ছাড়া হতে হবে।
➡️ রং শনাক্ত করার ক্ষমতা থাকতে হবে। মেডিকেল টেস্টে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকতে হবে।
৪.ভর্তি প্রক্রিয়া
যোগ্যতার মানদন্ড যদি পূরণ হয় তাহলে ভর্তি প্রক্রিয়াটা কেমন হবে এটা জেনে নিতে হবে। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে সেটা জানানো হলো:-
➡️ সঠিক সময়ে মেরিন একাডেমীর সরকারি ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে।
➡️ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে যেখানে বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রশ্ন থাকে।
➡️ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষা ও মেডিকেল টেস্টের জন্য আবেদনকারীদের ডাকা হয়ে থাকে।
➡️ সব পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পেরেছে তারাই ভর্তি হতে পারে।
আরো পোস্ট: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা ও পড়ার খরচ
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার আগে কিছু টিপস
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবশ্যই জানা উচিত।এসএসসি ও এসএসসিতে ভালো ফলাফলের দিকে নজর দিতে হবে বিশেষ করে বিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ে। ভর্তি হওয়ার আগে নিয়মিত ব্যায়াম করে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখতে হবে। তাছাড়া ইংরেজি দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং গণিত পদার্থ ও রসায়ন চর্চা করতে হবে অনেক আগে থেকেই। তাহলে ভর্তি হওয়ার আগে অন্যদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে থাকবেন।
শেষ কথা, আশা করি ইতিমধ্যে পোস্টটি যারা পড়েছেন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী ভর্তির যোগ্যতা ও ভর্তি হওয়ার জন্য কি কি করা লাগে এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।