রমজানের রোজা কত হিজরীতে ফরজ হয়েছিল

রমজানের রোজা কত হিজরীতে ফরজ হয় এই নিয়ে অনেকের অভিমত রয়েছে। রমজানের রোজা দ্বিতীয় হিজরী সালে ফরজ হয়। মহান আল্লাহতালা মদিনায় অবস্থানকালে হিজরতের দুই বছর পর মুসলমানদের ওপর রমজান মাসের রোজা বাধ্যতামূলক করে দেন। রমজানের রোজা কত হিজরীতে ফরজ হয় এই নিয়ে ইসলামিক দলিল রয়েছে:-

হে মুমিনগণ তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমনটা করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে করে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। 

অর্থাৎ সকল মুমিনদের রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। কেননা রোজা হল ফরজ একটি কাজ। দীর্ঘ এক মাস রোজা পালন করার মাধ্যমে মুমিনগণ আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করতে পারবেন।

কত হিজরীতে রমজানের রোজা ফরজ করা হয়

২ হিজরী সালের দিকে রমজান মাসের রোজা ফরজ করা হয়। তারপর থেকে রাসুল আল্লাহ সাল্লাল্লাহু সালাম এবং সাহাবারা নিয়মিত রোজা পালন করেছেন এবং আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করেছেন। কেননা রোজা ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সূরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,  

হে ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমনটা করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীতের উপর যার মাধ্যমে তোমরা মহান আল্লাহতালার তাকওয়া অর্জন করতে পারবে।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালাম যখন মদিনায় হিজরত করেন তার দুই বছরের মধ্যেই রোজা ফরজ করা হয়। এর আগেও মুসলমানরা রোজা পালন করতো কিন্তু রমজান মাসের রোজার এতটা গুরুত্ব ছিল না। অর্থাৎ আশুরার রোজা মহরম রোজা এগুলো মুসলমানরা পালন করতো। তারপরে রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর এটি প্রধান রোজা হিসেবে প্রতিষ্ঠা হয়।

কার উপর সিয়াম পালন করা ফরজ

প্রত্যেক মুসলমান অর্থাৎ মুমিন তার ব্যক্তিদের সিয়াম পালন করা ফরজ। কেননা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা বা সিয়াম একটি। তাই রমজান মাসে সিয়াম পালন করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করতে পারবো।

Sharing Is Caring:

Leave a Comment