তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে?

রমজান মাসে তারাবির নামাজ পড়া হয়। রোজার আগের দিন তারাবির নামাজ ইমামের পিছনে মুমিনগণ আদায় করে থাকেন। রমজান মাসের গুরুত্বের কারণে তারাবির নামাজকে অনেকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। রমজান মাসে তারাবির নামাজ একটি বিশেষ ইবাদাত যা প্রত্যক মুসল্লি রাতের বেলা পড়ে থাকেন। যার কারনে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে?

তারাবির নামাজ কেন গুরুত্ব দেওয়া হয় 

তারাবির নামাজের গুরুত্ব দেওয়া হয় এই কারণে তারাবির নামাজ হচ্ছে রমজান মাসের একটি সুন্নত ইবাদাত। তারাবির নামাজ নফল নামাজের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু তবুও তারাবির নামাজকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় শুধুমাত্র রমজান মাসের জন্য। অর্থাৎ মুমিনদের কাছে রমজান মাস যতটা গুরুত্বপূর্ণ তারাবির নামাজ ও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ অনেকেই মনে করেন।

তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে 

ইসলামী শরীয়তে রোজা পালন করার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। অর্থাৎ এই শর্তগুলো পালন করার মাধ্যমে রোজাটি সহিও হবে। যেমন:-

১. সিয়ামের নিয়ত করতে হবে 

২. সুবাহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার এবং রোজা ভঙ্গকারী সকল কাজ থেকে মুমিনদেরকে বিরত থাকতে হবে। 

৩. রোজা ভঙ্গ হতে পারে যে কোন কাজ ইচ্ছাকৃতভাবে করা যাবে না। 

এবার প্রশ্নটা হলো তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে? তারাবির নামাজের সাথে রোজার কোন সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ কেউ যদি তারাবির নামাজ নাও পড়ে তাহলেও তার রোজা হবে অন্যান্য নিয়মগুলো সঠিকভাবে পালন করলে। কেননা ইসলামিক শরীয়ত অনুযায়ী রোজা রাখার মূল শর্ত হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত সহ অন্যান্য রোজা ভঙ্গকারী কাজ থেকে বিরত থাকলে রোজা সহীহ হবে।

তবে যদি তারাবির নামাজ কোন কারনে মিস হয়ে যায় রোজার নিয়ত থাকলে অবশ্যই রোজা হবে। তবে তারাবির নামাজ যেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত তাই এটি রমজান মাসে পড়া খুবই সওয়াবের কাজ।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম নিজে তারাবির নামাজ আদায় করেছেন ও সাহাবীদের তারাবির নামাজ আদায় করার জন্য বলেছেন। এটি না পড়লে কোন ধরনের পাপ না হলেও সওয়াব থেকে বঞ্চিত থাকবেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম সকল সময় তারাবির নামাজ আদায় করে রোজা পালন করেছেন। তাই আমাদেরও উচিত তারাবির নামাজ আদায় করা।

Sharing Is Caring:

Leave a Comment