সেহরির শেষ সময় কিভাবে নির্ধারণ করা হয়? সেহরি রোজার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, যা সুবহে সাদিকের আগে শেষ করতে হয়। ইসলামic বিধান অনুযায়ী, সেহরির শেষ সময় হলো ফজরের সময় শুরু হওয়ার ঠিক আগে। ফজরের আজান শুরু হলে আর কিছু খাওয়া-দাওয়া করা যায় না।
রাসূল (সা.) বলেছেন, “তোমরা সেহরি খাও, কারণ এতে বরকত রয়েছে।” (বুখারি, মুসলিম) তাই শেষ সময়ের কাছাকাছি সেহরি খাওয়া সুন্নত, তবে ফজরের আগে অবশ্যই শেষ করতে হবে।
সঠিক সময় জানতে ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা উচিত। আল্লাহর নির্দেশ মেনে যথাযথ সময়ে সেহরি শেষ করাই রোজার শুদ্ধতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সেহরির শেষ সময় কিভাবে নির্ধারণ করা হয়?
সেহরির শেষ সময় নির্ধারণ করা হয় সুবহে সাদিকের (ভোরের প্রথম আলো) ভিত্তিতে। ইসলামে রোজার শুরু ফজরের সময় থেকে, তাই সেহরির শেষ মুহূর্ত হলো সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত।
সেহরির শেষ সময় নির্ধারণের উপায়:
ইসলামিক ক্যালেন্ডার ও সময়সূচি: মসজিদ বা ইসলামিক সংস্থাগুলো নির্ভরযোগ্য ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে, যেখানে সেহরির শেষ সময় উল্লেখ থাকে।
ফজরের আজান: ফজরের আজান শুরু হলে সেহরির সময় শেষ হয়ে যায়।
আকাশের পরিবর্তন: সুবহে সাদিকের সময় পূর্ব দিগন্তে ফর্সা আলো দেখা দিলে সেহরি বন্ধ করতে হয়।
রাসূল (সা.) সেহরি শেষ সময়ের কাছাকাছি খেতে উৎসাহিত করেছেন, তবে ফজরের আগে অবশ্যই শেষ করা জরুরি। আল্লাহর বিধান মেনে সঠিক সময়ে সেহরি শেষ করাই রোজার শুদ্ধতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সেহরি ও ফজরের মধ্যে কত সময়?
সেহরির শেষ সময় ও ফজরের নামাজের মধ্যে খুব বেশি ব্যবধান নেই। ইসলামে সেহরির শেষ সময় হলো সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত, আর সুবহে সাদিক শুরু হলেই ফজরের সময় প্রবেশ করে। সাধারণত, সেহরি শেষ হওয়ার পরপরই ফজরের আজান হয়, যা প্রায় ১০-১৫ মিনিটের ব্যবধানে হতে পারে।
রাসূল (সা.) সুপারিশ করেছেন, সেহরি শেষ করার পর কিছু সময় রেখে ফজর পড়া উত্তম। তবে নিশ্চিত হতে হলে ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা উচিত। সময় মেনে সেহরি শেষ করাই রোজার শুদ্ধতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ইমসাকের পর ফজরের নামাজ পড়া যাবে কি?
ইমসাক হলো সেহরি শেষ করার সময়, যা ফজরের আজানের কিছু আগে শুরু হয়। ইসলামিক বিধান অনুযায়ী, ইমসাকের পর সেহরি খাওয়া বন্ধ করতে হয়, তবে ফজরের নামাজ পড়া যাবে। ইমসাকের পর, ফজরের নামাজের সময় শুরু হয় এবং এটি সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত চলতে থাকে।
ফজরের নামাজ ইমসাকের পর পড়া উচিত কারণ ফজরের আজান এবং নামাজের সময় নির্দিষ্ট। ইমসাকের সময় আসার পর আর খাওয়া না করলেও, নামাজ ঠিক সময়ে পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোজা শুরু করার আগে ফজরের নামাজ পড়া আবশ্যক।